কেয়ামতের নানান ধরণের নিদর্শন নাকি দেখা যাচ্ছে। আরেক আলেমে আউলা গায়েবে ফকিরতো দজ্জাল এসে গেছে বলে নানা রকমের ডিজাইন করে টোকেন বিলি করতেছেন মানুষদের মাঝে। তার মতে দজ্জাল নাকি কোনো মানুষ নয় বরং দজ্জাল হইলো এই ইংরেজী সভ্যতা। কিন্তু আমি বুঝলাম না, ইংরেজী সভ্যতার চোখ কানা হইবে কিভাবে?
যাহাই হোক, আমারতো সন্দেহ হয় -লেখক সাহেব নিজেই দজ্জাল। তিনি অত্যাধুনিক মানুষকে নানাভাবে বিচলিত করার ফন্দী করতেছেন। আসেন মুমিন ভাই-বেরাদার গণ সেই লেখককেই আমরা দি ইন্ড করে দি। ফাইযলামী করে ভাল কথা কিন্তু মহান আল্লাহ এবং তার বর্ণিত আপকামিনহ ঘটনা সমূহ নিয়ে বিয়াদ্দপি মূলক টোকেন বানিয়ে প্রচার করাতো কাফেরীর শামিল। আসেন কাফের ভাইটাকে বুঝাই যে উনার মাথায় ডিফেক্ট আছে। আর যদি ওনার মাথার রোগের কথা তিনি মানতে না চান তাহলে আসুন ওনাকে জোড় পূর্বক মানাই। আল্লাহপাক বলেছেন, তাদের দেখিবা মাত্র কোতল কর যদি তারা সোজা পথে না আসে।
নমুনা ছবি দিলামঃ-লেখক সাহেবের মতে, কিয়ামত নজদিক আসতেছে আর উনি নতুন ধরণের বাংলা বানানরীতির প্রচলন কোরতে চাচ্ছেন। বানান রীতিটা এরকোম যে, বাংলা ভার্ব (যেমন- করবে, ধরবে, পড়বে ইত্যাদি), কিন্তু উনি চান এগুলোর নাকি পোরিবোর্তোন হোয়া উচিত। পরিবর্তন হয়ে ভার্বগুলো হবে এরকম- কোরবে, ধোরবে, পোড়বে ইত্যাদি। উনি বড়ই বলদ -ইহা ছাড়া কিছুই বলিবার নাই!
লেখক সাহেব হঠাৎ করে কেয়ামত নিয়ে এত উৎসাহিত হয়ে যাবার কারণ বুঝিনা। বৈজ্ঞানিক ভাবেও দেখা যায় কিয়ামত সন্নিকট আছে। ২০১২ সালের ২১ শে ডিসেম্বর নাকি কিয়ামত না হইলেও এই পৃথিবী এক মহা মসিবতের মধ্য দিয়া যাইবে। মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডারও নাকি এই দিনেই শেষ।
এই সম্পর্কে কিছু লিংক দিচ্ছি। প্রথমে উইকিপেডিয়া'র একটা পেইজ এখানে মায়া সভ্যতার ইতি মানে সম্পূর্ণ পৃথিবীর ইতি বলা হয়েছে। লিংক
NASA 'র ওয়েবসাইটেও দেখা যায় একই ঘটনা। তারাও নাকি এই দিনটা নিয়ে আতঙ্কে আছে। লিংক
যাই হোক, ২০১২ সালে কিয়ামত হোক আর ২০০১২ সালেই হোক, আল্লাহপাক আমাদের যেই কারণে দুনিয়াতে প্রেরণ করিয়াছেন তা যেন আমরা ঠিকঠাকমত পালন করি। কিয়ামতের ভয়ে যদি নামাজ-কলেমা শুরু করি লাভ হবেনা, নিজ দায়িত্বেই শুরু করুন ইসলামিক জীবন কায়দা।


0 টি মন্তব্য:
Post a Comment