ভারতে'র বিক্ষ্যাত গরম নায়িকা যে কিনা সারাক্ষণ হাটুর উপরে কাপড় পরে থাকে -সভিতা চন্ডেলখার, তাকেও রক্ষা করেনি ভগমান। তারেও ধরেছে এ্যানথ্রাক্সের জীবানুতে। তাকে এ্যামেরিকা পশু হাসপাতালে চিকিৎসার কারণে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তিনি আক্রান্ত পশুদের সাথে এ্যানথ্রাক্সের ট্রিটমেন্ট নিচ্ছেন। তিনি আপাততঃ তার বয়ফ্রেন্ড হতে বিচ্ছিন্ন আছেন।
আগামীতে আসছে কুরবানীর ঈদ। দীর্ঘ এক মাস ত্যাগের পর আসে ফিতরার ঈদ। এরপর দীর্ঘ দুইমাস নাচলে-গাইলেই চামড়ার ঈদ চলে আসে। এর জন্য কোনো প্রকারের ত্যাগের প্রয়োজন হয়না। তবে এই সময়টাতে মুরগী ব্যবসায়ীগন ব্যাপক লসের মধ্যে দিন গুজরান করেন। কুরবানীর পরে দুই-তিন সপ্তাহ তাদের কাজ-কারবার বন্ধ রাখতে হয়। কুরবানীর ঈদের এখনো দেরী আছে। কিন্তু গরুর এ্যানথ্রাক্স হওয়ার কারণে এখন মুরগ ব্যবসায়ীরা কুরবানীতেও তাদের ব্যবসা জারী রাখার মত একটা সম্ভাবনা হাতে পেয়েছে। সেই সম্ভাবনায় আরো একটু কেরোসিন ঢালার জন্য তারা গরু সম্পর্কে আরো অপপ্রচার আরম্ভ করেছে। তারা বলে গরুর এই এ্যানথ্রাক্স রোগ নাকি গরু মরা ব্যতিত শরীরে থেকে যায়না। তাই তারা তাদের মুরগীকেই আসন্ন কুরবানীতে ব্যবহার করার কথা উত্থাপন করেছেন।
সরকার কিছুদিন আগে ঘটা করে গরু ধরে ধরে তাদের ইঞ্জেকশান ফুটিয়েছেন। এরপর সরকার হাসিমুখে জাতিকে বলেছে তারা সব গরুদের ধরে ধরে ইঞ্জেকশান দিয়েছে। কিন্তু এর মাঝে মুরগী ব্যবসায়ীদের নতুন ফতোয়া সরকারকে ব্যাপক বিরক্তি করেছে।
উপরোক্ত কারণে র্যাব দেশের নানা স্তরের মুরগী ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে প্রহার করেছেন। কিন্তু এরপরেও জনতা সরকারের কথা বুঝতে রাজী নয়।
সরকার জাতীকে বুঝাতে নানা প্রক্রিয়া গ্রহন করেছে।
-আরব দেশে যারা হাজ্ব করতে হবে তারা ফেরার সময় দেশে দুম্বা নিয়ে আসবেন।
-সরকারের অন্য একটি বড় পদক্ষেপ হল, দেশের জনগণকে সৌদি আরব নিয়ে কুরবানী'র ঈদ করিয়ে আনবেন। এতে করে আর এ্যানথ্রাক্সের ঝুঁকি থাকছেনা।
সরকারের এসব প্রক্রিয়ার সফলতার উপর নির্ভর করবে এবারের কুরবানের ঈদ। সরকার যদি এসব পদক্ষেপ গ্রহনে ব্যার্থ হয়, তাহলে দেশের জনগণ আগামী কুরবানীতে গরু খাওয়া হতে বঞ্চিত হবে। আর যদি ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য রক্ষা করতে গিয়ে গরু খেয়েও ফেলে সে হবে এ্যানথ্রাক্সের শিকার। বাকীটা সরকারের হাতে।

0 টি মন্তব্য:
Post a Comment